পাবনায় ইছামতি নদী খননের মাটি দিয়ে নদীর দুইপারের ফসলী জমি ও বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণের ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নদীর দুই পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকগণেরা।
০৪ অক্টোবর (শনিবার) দুপুরের আতাইকুলা থানাধীন চকউগ্রগড় গ্রামে ইছামতী নদী পারে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, পাবনায় ইছামতি নদী পূনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদী থেকে উত্তোলিত মাটি নদীর তীরে ব্যাক্তি মালিকানাধীন ফসলী জমি, ফলের বাগান ও বসতবাড়ির পাশে জোরপূর্বক রেখেছেন। দীর্ঘ সময় এই মাটি রাখায় একদিকে যেমন তিন ফসলের জমি নষ্ট করেছেন অন্যদিকে কয়েক হাজার মানুষের বসতবাড়ি নষ্ট করেছেন। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নদীর মাটি তুলে একদিকে ফসলী জমিতে কাদা মাটি রাখছেন অন্যদিকে বসতবাড়ি নষ্ট করে চলেছেন। তাই জেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও সরকার প্রধানের নিকট নদী পাড়ের বৈধ জমির মালিক ও বসতীদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটি পূরণের জন্য প্রশাসনের নিকট ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তারা।
একই সাথে সেনাবাহিনীর কর্তৃক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদীর মাটি অপসারণের নামে পূণরায় ফসলী জমি, ফলের বাগান, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। মাটি অপসারণের প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগীদের নানা ভাবে প্রশাসন দিয়ে হয়রানিসহ হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
তাই ইছামতি নদী পারের ক্ষতিগ্রস্ত বসতীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপণের সুযোগ করে দিবেন সরকার এমনটাই দাবি তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জমির মালিক ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মজিদ, অব,সেনাকর্মকর্তা মোঃ আজহার, আব্দুল রশিদ, সোনাই মন্ডল, সলিম উদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত
ভুক্তভোগী শতাধিক বৈধ জমির মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে নদীর মাটি অপসারণ বন্ধের দাবি করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা।
স্টাফ রিপোর্টার 









