ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্থগিত হওয়া পাবনা অটো টেম্পু মালিক সমিতির নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি

জালিয়াতির করে ভোটার তালিকা, ব্যাপক কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগে স্থগিত হওয়া পাবনা জেলা অটো ট্যাম্পু, অটোরিকশা ও মিশুক মালিক সমিতির নির্বাচন পুরোপুরি বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রার্থী ও সমিতির সদস্যরা। দ্রুত নতুন নির্বাচন না দিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এসব অভিযোগ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচনের কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়। ভোট গণনার সময় এজেন্টদের ব্যালট প্রদর্শন না করেই গণনা করতে থাকেন। এতে অধিকাংশ প্রার্থী আপত্তি করলেও গণনা চলতে থাকে। প্রার্থীর এজেন্টদের নানা হুমকিধামকি দেয়। এক পর্যায়ে সাধারণ ভোটাররা ক্ষুদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট ব্যাপারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়ে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করেন। এরপরও তারা নানা টালবাহানা করছে।

তারা আরও বলেন, সমিতির প্রায় ২৫শ’র মতো সদস্য থাকলেও ১২০২ জন রেখে সবাইকে অবৈধভাবে বাদ দেয়া হয়। গত ২ মার্চ একদিনে তালিকা করা হয় এবং মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে তালিকার আপত্তি নিয়ে শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করে চায়ের দোকানে একটি কাগজে নোটিশ টাঙানো হয়। অধিকাংশ সদস্য এসব জানতেই পারিনি এবং ভোটার তালিকায় নাম উঠেনি। এমন জালিয়াতি ও ত্রুটিপূর্ণ তালিকা করেই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল।

মানববন্ধনে সভাপতি প্রার্থী আবু জাফর মো. আল মাসুদ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক পদের হাবিবুর রহমান লিটু ও বরাত প্রামাণিক, অর্থ সম্পাদক পদের লিটন হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তোফায়েল হোসেন সোলে প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এব্যাপারে নির্বাচনের জন্য গঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রার্থী নেই, তাহলে তারা কেন কারচুপি করবে? এখানে আমিও বিএনপি করি, তারপরও বলবো- যারা ঝামেলা করেছে তারা বিএনপি করে, বিএনপির লোকজনই তো এসব করেছে। ওরা হেরে যাওয়ার সময় এই সব করেছে। সেখানে পুলিশও ছিল কিন্তু পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করেছে। এখন আমরা নির্বাচন কমিশন বসে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পাবনা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে দিনব্যাপী  পাবনা জেলা অটো টেম্পু , অটোরিকশা ও ট্যাক্সি মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাতে গণনার সময় ভোট গণনার শেষ দিকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একদল দূর্বৃত্ত ভোট কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে ব্যালট পেপার ও ভোটার তালিকা ছিনিয়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভোট কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।

ট্যাগঃ

পাবনা প্রেসক্লাবের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 

স্থগিত হওয়া পাবনা অটো টেম্পু মালিক সমিতির নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি

সর্বশেষ আপডেট : ০৭:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

জালিয়াতির করে ভোটার তালিকা, ব্যাপক কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগে স্থগিত হওয়া পাবনা জেলা অটো ট্যাম্পু, অটোরিকশা ও মিশুক মালিক সমিতির নির্বাচন পুরোপুরি বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রার্থী ও সমিতির সদস্যরা। দ্রুত নতুন নির্বাচন না দিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এসব অভিযোগ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচনের কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়। ভোট গণনার সময় এজেন্টদের ব্যালট প্রদর্শন না করেই গণনা করতে থাকেন। এতে অধিকাংশ প্রার্থী আপত্তি করলেও গণনা চলতে থাকে। প্রার্থীর এজেন্টদের নানা হুমকিধামকি দেয়। এক পর্যায়ে সাধারণ ভোটাররা ক্ষুদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট ব্যাপারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়ে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করেন। এরপরও তারা নানা টালবাহানা করছে।

তারা আরও বলেন, সমিতির প্রায় ২৫শ’র মতো সদস্য থাকলেও ১২০২ জন রেখে সবাইকে অবৈধভাবে বাদ দেয়া হয়। গত ২ মার্চ একদিনে তালিকা করা হয় এবং মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে তালিকার আপত্তি নিয়ে শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করে চায়ের দোকানে একটি কাগজে নোটিশ টাঙানো হয়। অধিকাংশ সদস্য এসব জানতেই পারিনি এবং ভোটার তালিকায় নাম উঠেনি। এমন জালিয়াতি ও ত্রুটিপূর্ণ তালিকা করেই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল।

মানববন্ধনে সভাপতি প্রার্থী আবু জাফর মো. আল মাসুদ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক পদের হাবিবুর রহমান লিটু ও বরাত প্রামাণিক, অর্থ সম্পাদক পদের লিটন হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তোফায়েল হোসেন সোলে প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এব্যাপারে নির্বাচনের জন্য গঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রার্থী নেই, তাহলে তারা কেন কারচুপি করবে? এখানে আমিও বিএনপি করি, তারপরও বলবো- যারা ঝামেলা করেছে তারা বিএনপি করে, বিএনপির লোকজনই তো এসব করেছে। ওরা হেরে যাওয়ার সময় এই সব করেছে। সেখানে পুলিশও ছিল কিন্তু পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করেছে। এখন আমরা নির্বাচন কমিশন বসে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পাবনা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে দিনব্যাপী  পাবনা জেলা অটো টেম্পু , অটোরিকশা ও ট্যাক্সি মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাতে গণনার সময় ভোট গণনার শেষ দিকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একদল দূর্বৃত্ত ভোট কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে ব্যালট পেপার ও ভোটার তালিকা ছিনিয়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভোট কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।