ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনা-১ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি 

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আসন পুনর্বহাল না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেড়ার সিএন্ডবি মোড়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। অবরোধ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে নিজামীপুত্র পাবনা-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন ও জামায়াতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান এন তাঁরা। প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধের ফলে সড়কের দু’পাশে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

 এসময় ‘সীমানা বদল নয়, জনগণের অধিকার চায়’; ‘পাবনা-১ এর সীমানা কারো একক সম্পদ নয়’; ‘জনগণের কণ্ঠস্বর, দমিয়ে রাখা যাবে না’; ‘গণদাবি অমান্য হলে গণআন্দোলন’; ‘নির্বাচন কমিশনের অবৈধ গেজেট, মানি না মানবো না’; ‘বেড়া-সাঁথিয়ার বৈষম্য মানি না, মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এসময় অবরোধকারীরা বলেন, সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে পাবনা-১ আসনের আসনকে ভাগ করা হয়েছে। বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য সহ নানা কারণে সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত। 

অবরোধে নেতৃত্ব দেন বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপু, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আকশেদ আলী প্রমুখ।

এবিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম হাবিবুল ইসলাম জানান, সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিন লোকজন। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাঁথিয়া ও বেড়ার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে পাবনা-১ আসন করা হয়েছে এবং পাবনা-২ আসনের (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) সঙ্গে বেড়া উপজেলাকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা হয়েছে। 

ট্যাগঃ
জনপ্রিয়

পাবিপ্রবিতে লোকপ্রশাসন বিভাগের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

পাবনা-১ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি 

সর্বশেষ আপডেট : ০৪:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আসন পুনর্বহাল না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেড়ার সিএন্ডবি মোড়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। অবরোধ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে নিজামীপুত্র পাবনা-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন ও জামায়াতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান এন তাঁরা। প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধের ফলে সড়কের দু’পাশে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

 এসময় ‘সীমানা বদল নয়, জনগণের অধিকার চায়’; ‘পাবনা-১ এর সীমানা কারো একক সম্পদ নয়’; ‘জনগণের কণ্ঠস্বর, দমিয়ে রাখা যাবে না’; ‘গণদাবি অমান্য হলে গণআন্দোলন’; ‘নির্বাচন কমিশনের অবৈধ গেজেট, মানি না মানবো না’; ‘বেড়া-সাঁথিয়ার বৈষম্য মানি না, মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এসময় অবরোধকারীরা বলেন, সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে পাবনা-১ আসনের আসনকে ভাগ করা হয়েছে। বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য সহ নানা কারণে সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত। 

অবরোধে নেতৃত্ব দেন বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপু, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আকশেদ আলী প্রমুখ।

এবিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম হাবিবুল ইসলাম জানান, সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিন লোকজন। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাঁথিয়া ও বেড়ার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে পাবনা-১ আসন করা হয়েছে এবং পাবনা-২ আসনের (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) সঙ্গে বেড়া উপজেলাকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা হয়েছে।