পাবনায় ইছামতি নদী খননের পর নদীর দুই পাড়ের ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকেরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে গয়েশপুর ও একদন্ত ইউনিয়নের নদীর দুই পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকেরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, “ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্পের নামে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদী থেকে উত্তোলিত মাটি জোরপূর্বক আমাদের ফসলি জমি ও বসতবাড়ির পাশে ফেলে রেখেছে। এতে তিন ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে, ফলের বাগান ও বসতবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন মাটি ফেলে রাখার পর এখন সেই মাটি বিক্রিও করা হচ্ছে, ফলে আমরা দ্বিতীয়বার ক্ষতির মুখে পড়েছি।”
তারা আরও বলেন, “আমরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরোধী নই। কিন্তু আমাদের বৈধ সম্পত্তি ও জীবিকার ক্ষতি হলে তার ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবুল হাসেম, ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুল মজিদ, মো. আজহার আলী, মো. আব্দুল রশিদ, মো. শামসুল ইসলাম, মো. সলিম উদ্দিন প্রমুখ।
পরে ভুক্তভোগী ভূমি মালিকদের প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্তদের দাবির বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
স্টাফ রিপোর্টার 









