ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সাইদ চেয়ারম্যানসহ ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ মামলায় বিভিন্ন সময় ৩৫ জন গ্রেফতার রয়েছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল বলেন, রাতেই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই ফোনে জানিয়েছেন। চার্জশিটের কোনো কপি বা অনুলিপি এখনো হাতে পাইনি। এ মামলার এজাহারে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সম্ভবত একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। এক্ষেত্রে তদন্তে আরও ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার থেকে কারো নাম বাদ যায়নি বলে জেনেছি। এজাহারের কপি হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলা ও গুলি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এ ঘটনায় সদরের চর বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং হাজিরহাট বেতেপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হোসেন নিলয় (১৬) নিহত হন।

এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ আগস্ট নিহত ছাত্র জাহিদুল ইসলামের বাবা মো. দুলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। এতে ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ এবং সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয়

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ পাবনার নবগঠিত কমিটি গঠন:সভাপতি মহসীন, সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার 

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট

সর্বশেষ আপডেট : ০৪:৩২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সাইদ চেয়ারম্যানসহ ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ মামলায় বিভিন্ন সময় ৩৫ জন গ্রেফতার রয়েছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল বলেন, রাতেই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই ফোনে জানিয়েছেন। চার্জশিটের কোনো কপি বা অনুলিপি এখনো হাতে পাইনি। এ মামলার এজাহারে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সম্ভবত একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। এক্ষেত্রে তদন্তে আরও ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার থেকে কারো নাম বাদ যায়নি বলে জেনেছি। এজাহারের কপি হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলা ও গুলি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এ ঘটনায় সদরের চর বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং হাজিরহাট বেতেপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হোসেন নিলয় (১৬) নিহত হন।

এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ আগস্ট নিহত ছাত্র জাহিদুল ইসলামের বাবা মো. দুলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। এতে ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ এবং সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।